ডিম খাওয়ার সঠিক উপায়

সস্তায় ও সহজলভ্য প্রোটিনের সেরা ভাণ্ডার ডিম। ডিমের কুসুম এমনিতেই সুষম খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না । ডিম দিয়ে অমলেট, স্ক্রাম্বেলড এগ, ডিমের কালিয়া ইত্যাদি করে খাওয়া হয়। এসব খাবার খেতে সুস্বাদু হলেও এতে ডিমের পুষ্টিগুণ চলে যায় । সিদ্ধ করা ডিমে যে পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায় সেটা রান্না করা ডিমে পাওয়া যায় না।

তাহলে কীভাবে ডিম খেলে পূর্ণ পুষ্টিগুণ লাভ করা সম্ভব ? এমনভাবে খেতে হবে যেন শরীরের কোনো ক্ষতি না হয় আবার ডিমের পুষ্টিমানও ঠিক থাকে।

হাফ বয়েল

ডিমের বাইরের সাদা অংশ ভালোভাবে সিদ্ধ হবে এবং ভেতরের কুসুম আধাসিদ্ধ থাকবে, এমন ডিমকেই স্বাস্থ্যকর বলেন চিকিৎসকরা। আগুনের তাপ ডিমের ভেতরে থাকা ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে কুসুমের সবটুকু পুষ্টিগুণকে ঠিক রাখে। লবণ পানিতে মিনিট পাঁচেক সিদ্ধ করলে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হাফ বয়েল ডিম মিলবে সহজেই।

ফুল বয়েল

একটি সিদ্ধ ডিম থেকে প্রায় ১২.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া ফুল বয়েলড ডিম শুধু খাওয়াসহ স্যালাড বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খাওয়া যায়। ফুল বয়েল ডিম সহজে হজম হয়। লবণ পানিতে মিনিট দশেক সিদ্ধ করলেই তৈরি হয়ে যায় সিদ্ধ ডিম।

তেলহীন পোচ

তেলবিহীন উপায়ে যদি ডিম পোচ বানানো যায় তাহলে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুই-ই রক্ষা হয়। তবে তেলবিহীন উপায়ে পোচ তৈরি করা একটু কঠিন। প্রথমে ডিমটা সাবধানে ভেঙে নিন একটি বাটিতে। এমনভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম আস্ত থাকে, ছড়িয়ে না পড়ে। এর উপর স্বাদ অনুযায়ী গোলমরিচ ও লবণ ছিটিয়ে দিন। এবার একটি পাত্রে ভিনেগার দিয়ে অল্প পানি ফুটিয়ে তার মধ্যে সাবধানে ছেড়ে দিন এই ভাঙা ডিম। পোচ তৈরি হয়ে গেলে ঝাঁজর দিয়ে পানি ঝরিয়ে তুলে নিন। এমন পোচে তেল লাগে না বলে ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।